বরগুনার বেতাগীতে ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের পানিতে এখনো কিছু এলাকা প্লাবিত রয়েছে। ওই সব এলাকায় ২৯টি বাড়ি রয়েছে বলে জানা যায়। ওই পরিবারগুলো এখনো আশ্রয় কেন্দ্র অবস্থান করছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাতে বরগুনায় সাড়ে ১১ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। এতে নদীর পানিতে ফসলি জমিসহ সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এখনো পানির মধ্যে নিমজ্জিত রয়েছে ২৯টি পরিবার।
খবর পেয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব আহসান নৌবাহিনীর লেফটেনেন্ট সাইফ, নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মোহাম্মদ তোফায়েল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসক ইতোমধ্যে ওই নিমজ্জিত পরিবারগুলোর মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, আলু, তেল লবণসহ আর্থিক সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ বিতরণ করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব আহসান জানান, সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয়কৃত ২৯ পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঝুঁকিপুর্ণ বেড়ি বাঁধগুলো মেরামত করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply