সকল ভেদাভেদ ভুলে সম্মিলিত ভাবে হেফাজতে ইসলামের হাতকে শক্তিশালী করতে দেশের সকল আলেম-ওলামা ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির নবনির্বাচিত আমির জামিয়া ইসলামিয়া বাবুনগরের মহাপরিচালক আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের আকীদা-বিশ্বাস, ঈমান-আমল, দ্বীনি চিন্তা-চেতনা ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষার এই আন্দোলন এবং দল-মত নির্বিশেষে সকল মুসলিম জনসাধারণের আস্থা ও ভক্তির আধার, সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’কে ধরে রাখা, বরং ধীরে ধীরে একে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ঘোষিত হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সুন্দরভাবে চেষ্টা করা আমাদের সবার কর্তব্য ও ঈমানী দায়িত্ব। আমাদের কিছু লোকেরা চলে গেছেন বলে হেফাজতে ইসলাম চলে যাবে এটা হওয়া উচিত নয়। মূলত মানুষ পৃথিবীতে আসে ক্ষণিকের জন্য। কেউ এখানে চিরস্থায়ী হয় না। একদিন সবাইকে চলে যেতে হয়। তাই যতক্ষণ আমাদের প্রাণ আছে ততক্ষণ আমাদেরকে ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে সঠিক আকীদা-বিশ্বাস, ইসলামী চিন্তা-চেতনা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মেহনত চালিয়ে যেতে হবে। আমি আশা করি, সবাই মিলেমিশে কুরআন-সুন্নাহ মতে সালাফের পদ্ধতি ও আকাবিরের উসূল মেনে কাজ করলে খুব শিগগিরই আমরা হেফাজতে ইসলামকে পুনর্বহাল করতে সক্ষম হব। বরং সময়ের সাথে সাথে একে আরো ত্বরান্বিত করতে এবং সমুন্নত রাখতে পারব ইনশাআল্লাহ।’
হেফাজত আমির বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের সকল তৌহিদী জনতার কাছে আকুল আবেদন করছি, আপনারা সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মুরুব্বিদের পরামর্শক্রমে আগের মতো সম্মিলিত ভাবে পূর্ণ ইখলাসের সাথে কাজ করে হেফাজতে ইসলামের হাতকে মজবুত করুন। এভাবে কাজ করলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মুসলিম জনতার প্রাণের আশা পূরণে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘আমি দোয়া করি, আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের দেশ ও জাতিকে সব ধরনের সংকট ও বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করেন। আর যেন সদ্যমরহুম আমিরে হেফাজত, শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং তার আগের আমিরে হেফাজত শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-কে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করেন এবং আমাদের সবাইকে তার রেজামন্দির উদ্দেশ্যে দ্বীনের কাজ করার তৌফিক দান করেন।’
Leave a Reply